মাত্র ৩০ দিনে রোগা হবার সহজ উপায় ঘরোয়া পদ্ধতিতে ।রোজ সকালে নিয়ম করে করলে ওজন কমবে দ্রুত ডায়েট, শরীরচর্চা ছাড়াও ওজন কমানোর আরও বেশ কিছু পথ আছে।
Social media আর তারকাদের ছিপছিপে, মেদহীন চেহারা দেখতে পছন্দ করে দর্শক। সেই সৌন্দর্যের পিছনে যে অক্লান্ত পরিশ্রম লুকিয়ে থাকে, তা তা কেউ জানে না। পরিশ্রম ছাড়া রোগা হওয়া সম্ভব নয়। এ বিষয়ে কে কতটা পরিশ্রমী, তার উপর নির্ভর করছে ওজন কত দ্রুত কমবে। ডায়েট, শরীরচর্চা, বাইরের খাবার না খাওয়া— রোগা হওয়ার প্রাথমিক শর্ত এগুলিই। কিন্তু একমাত্র উপায় নয়। ওজন ঝরানোর আরও বেশ কিছু পথ আছে।
দ্রুত ঘুম থেকে উঠুন:
সকালে ঘুম থেকে ওঠার খুবই প্রয়োজনীয়। সকালে দ্রুত ঘুম থেকে উঠলে শরীরে একটা বাড়তি চনমনে ভাব থাকে। সব কাজেই একটা আলাদা উৎসাহ পাওয়া যায়। শরীরচর্চা করতেও আগ্রহ জন্মায়। সূর্য ওঠার পর শরীরচর্চা করার উৎসাহ থাকে না। সহজেই ক্লান্ত হয়ে পড়তে হয়।
ঘড়ি ধরে শরীরচর্চা করুন:
ঠিক করুন দিনে কতক্ষণ শরীরচর্চা করবেন। সেই অনুযায়ী ঘুম থেকে উঠুন। শরীরচর্চায় খামতি থাকলে ওজন ঝরানো কঠিন হয়ে উঠবে। তাই মন দিয়ে ব্যায়াম করুন। কোনও দিন যদি সময়ের আগে শরীরচর্চা করা শেষ করে দেন, পরের দিন বেশি ক্ষণ করে নিন।
প্রচুর পরিমাণে জল খান:
সকালে উঠে জল খাওয়ার অভ্যাস দ্রুত ওজন ঝরাতে সাহায্য করবে। বেশি করে জল খেলে শরীরের যাবতীয় টক্সিন বাইরে বেরিয়ে যায়। আর এই টক্সিন হল ওজন বেড়ে যাওয়ার মূল কারণ হতে পারে। তাই সকালে উঠেই শরীর ঝরঝরে করে ফেলুন জল খেয়ে। দেখবেন ওজন কমানো অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে।
জলখাবারে প্রোটিন :
প্রোটিনে সমৃদ্ধ খাবার খেলে ওজন বেড়ে যেতে পারে, এই ধারণা ভুল। বরং ওজন কমানোর ক্ষেত্রে প্রোটিন অন্যতম ভরসা হতে পারে। সকালের খাবারে ডিম, দুধ, কাঠবাদাম, গ্রিক ইয়োগার্ট রাখতে পারেন। ওজন তাড়াতাড়ি কমবে।
ধ্যান করুন:
শরীরচর্চা করার পরেও রোগা হতে ধ্যান করাটা খুবই প্রয়োজনীয়। মনের সঙ্গে ওজনের একটা সম্পর্ক রয়েছে, অনেকেই তা জানেন না। মন যদি অস্থির থাকে, তা হলে কোনও পরিশ্রমই কাজে আসবে না। তাই মনের খেয়াল রাখাও প্রয়োজন।
গ্রিন টি খান :
গ্রিন টিয়ের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট টক্সিন বের ককে দেয় এবং এর ফলে পেটের অবাঞ্ছিত মেদ কমে যায়। দিনে দু থেকে তিনবার গ্রিন টি খেতে পারলে সপ্তাহে ৪০০ ক্যালোরি মতো ওজন ঝরবে। সেই সঙ্গে ত্বকও ঝলমলে থাকবে।
মেথির ও মৌরির জল খান :
খালি পেটে মেথির জল খেলে যেমন ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে তেমনই দ্রুত রোগাও হওয়া যায়। এছাড়াও মেথি আর মৌরি বিপাক ক্রিয়াকে উন্নত করে। ফলে সারাদিনের খাবার সহজেই হজম হয়ে যায়। আর সকালে মেথির জল খেলে শরীর থেকে যাবতীয় টক্সিন বেরিয়ে যায়। ফলে আপনার শরীর ভালো থাকবে এবং ওজন কমানোর জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পদ্ধতি।
0 Comments